তাজকিরায়ে সাহাবা পহেলা হিস্যা Tajkirah Sahaba vol.1
تذكرة الصحابة1
web_tajkirah_hissa_one.doc | |
File Size: | 6689 kb |
File Type: | doc |
tajkirah_march_2017.doc | |
File Size: | 10300 kb |
File Type: | doc |
তাজকিরায়ে সাহাবা হিস্যা 2 ...... Tajkirah Sahaba vol.2
تذكرة الصحابة2
dosra_hissa_30may2017.docx | |
File Size: | 208 kb |
File Type: | docx |
আল্লাহকে শুকরিয়া জানাচ্ছি। আল্লাহর দয়ায় তাজকিরা সাহাবার দোসরা হিস্যা লিখেছি। আগের পর্বে সাহাবীদের মযাদা সম্পর্কে লিখেছিলাম এবং 34 জন সাহাবীর জীবনচরিত আলোচনা করেছিলাম। এ পর্বে কয়েকজন সাহাবীর জীবনচরিত আলোচনা করেছি যাদের ঘটনাবলী আজীব।
নবী (স)-এর কিছু সাহাবী ছিলেন শাহজাদা বা প্রিন্স। যেমন জু-মিখবর (হাবশার প্রিন্স), ওয়ায়েল (হাদরামা্ওতের প্রিন্স) ও ফিরোজ দায়লামী (ইয়েমেনের প্রিন্স)। আবার কিছু সাহাবী ছিলেন ক্রীতদাস। যেমন বিলাল, জায়েদ বিন হারিছা, আবু রাফে, ছাওবান, কায়েছ ছাফীনা ....
শাহজাদা বা প্রিন্সরা নবী (স.)এর খাদেম হয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে করতেন।
রসূলের (স) বিবিদের ক্রমধারা: ১. খাদীজা, ২. সাওদা, ৩. আয়িশা, ৪. হাফছা, ৫. জয়নাব বিন্ত খুজায়মা, ৬. উম্মু হাবীবা, ৭. উম্মু সালমা, ৮. জয়নাব বিন্ত জাহাশ, ৯. জুওয়াইরিয়্যা, ১০. ছাফিয়্যা, ১১. মায়নূনা (রা)। আগের পর্বে খাদীজা, আয়িশা ও উম্মু সালমা (রা.)-এর এর জীবনী আলোচনা করেছিলাম। এ পর্বে অন্য নবী-পত্নীগণের (রা.) জীবনী আলোচনা করেছি।
নবী (স)-এর সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে দাসপ্রথা ছিল। পৃথিবীর কোন দেশে দাসদাসীকে মুক্ত করে সন্তানের মতো লালন করা, দাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করা, দাসীর গর্ভজাত সন্তানকে উত্তরাধিকার দেয়া এসবের কোন নজীর পাওয়া যায় না। ইসলাম দাসদের উন্নতির যে সুযোগ দান করেছে, মুক্ত দাস ছাওবান, আবূ রাফে আছলাম, মাবূর কিবতী, জু মিখবর, আবূ বকরা ছাকাফী (রাযিআল্লাহু আনহুম) তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।
নবী করীম মুহম্মদ (স.) জায়েদ বিন হারিছাকে নিজ পুত্রের মতো লালন করেন। নবী (স.) তার ফুফতো বোনের সাথে মুক্তদাস জায়েদ বিন হারিছা (রা.)-এর বিয়ে দেন। তিনি উম্মে আয়মান বারাকাকে মা বলে ডাকতেন। আবু হুজায়ফা (রা.) সালেম (রা.)কে নিজ পুত্রের মতো লালন করেন। নবী (স.) জুওয়াইরিয়া, ছাফিয়া, রায়হানাকে দাসীরূপে পেয়ে স্ত্রীরূপে বরণ করেন। তাদেরকে তিনি স্ত্রীরূপে বরণ না করলে ইতিহাসে তাদের নামপরিচয় পাওয়া যেত না। .........।
আবু রাফে দাস ছিলেন, তবে মর্যাদা ও যোগ্যতায় ছিলেন আজাদ লোকদের সমকক্ষ। রসূল (স.) আলী রা)-এর নেতৃত্বে যে বাহিনী ইয়ামেনে পাঠান তাতে আবু রাফেও ছিলেন। আলী রা: নিজের অনুপস্থিতিতে আবু রাফেকে বাহিনীর নেতৃত্ব দান করেন। রসুল (স.) এর সাথে আবু রাফের গোলামীর সম্পর্ক এত মধুর ও প্রিয় ছিল যে, আমরণ আবু রাফে রসুল (স.) এর গোলাম বা দাস বলে নিজের পরিচয় দিতেন।
নবী (স.) বলেন, তোমাদের রব এক, তোমাদের পিতা এক। জেনে রাখ, অনারবের উপরে আরবের কোন প্রাধান্য নেই, আরবের উপরেও অনারবের কোন প্রাধান্য নেই। কালোর উপর লালের কোন প্রাধান্য নেই, লালের উপর কালোর কোন প্রাধান্য নেই, তাকওয়া ব্যতীত। [1]
নবী (স.) বলেন, তোমাদের পিতা আদম আর আদম মাটির তৈয়ারী। [2]
তোমাদের বিবিদের সাথে সদাচরণ কর, তাদের উপর তোমাদের যেমন হক আছে, তোমাদের উপরও তাদের হক আছে।
দাসদের সাথে সদয় আচরণ কর।
নবী (স.) বলেন, যে দাসীকে আদব শিখায় এবং তাকে আজাদ করে বিয়ে করে তার জন্য দ্বিগুণ পুরষ্কার। (বুখারী) এ হাদীস থেকে বুঝা যায় আজাদ করার আগে দাস দাসীকে আদব শিখাতে হবে।
ইবনে রাওয়াহার একটি কালো দাসী ছিল। তিনি তাকে নিকাহ করলে অনেক মুসলিম তাকে দোষারোপ করে। কারণ তারা চাইত, খান্দানী শরাফত বজায় রাখতে শরীফ খান্দানের মুশরিক নারীকে বিয়ে করা। তখন আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করেন: অবশ্যই মুসলিম দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে বেহতর, যদিও তাদেরকে তোমার ভালো লাগে। (2:221)
[1] আহমদ
[2] বাযযার
নবী (স)-এর কিছু সাহাবী ছিলেন শাহজাদা বা প্রিন্স। যেমন জু-মিখবর (হাবশার প্রিন্স), ওয়ায়েল (হাদরামা্ওতের প্রিন্স) ও ফিরোজ দায়লামী (ইয়েমেনের প্রিন্স)। আবার কিছু সাহাবী ছিলেন ক্রীতদাস। যেমন বিলাল, জায়েদ বিন হারিছা, আবু রাফে, ছাওবান, কায়েছ ছাফীনা ....
শাহজাদা বা প্রিন্সরা নবী (স.)এর খাদেম হয়ে নিজেদেরকে ধন্য মনে করতেন।
রসূলের (স) বিবিদের ক্রমধারা: ১. খাদীজা, ২. সাওদা, ৩. আয়িশা, ৪. হাফছা, ৫. জয়নাব বিন্ত খুজায়মা, ৬. উম্মু হাবীবা, ৭. উম্মু সালমা, ৮. জয়নাব বিন্ত জাহাশ, ৯. জুওয়াইরিয়্যা, ১০. ছাফিয়্যা, ১১. মায়নূনা (রা)। আগের পর্বে খাদীজা, আয়িশা ও উম্মু সালমা (রা.)-এর এর জীবনী আলোচনা করেছিলাম। এ পর্বে অন্য নবী-পত্নীগণের (রা.) জীবনী আলোচনা করেছি।
নবী (স)-এর সময়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে দাসপ্রথা ছিল। পৃথিবীর কোন দেশে দাসদাসীকে মুক্ত করে সন্তানের মতো লালন করা, দাসীকে মুক্ত করে বিয়ে করা, দাসীর গর্ভজাত সন্তানকে উত্তরাধিকার দেয়া এসবের কোন নজীর পাওয়া যায় না। ইসলাম দাসদের উন্নতির যে সুযোগ দান করেছে, মুক্ত দাস ছাওবান, আবূ রাফে আছলাম, মাবূর কিবতী, জু মিখবর, আবূ বকরা ছাকাফী (রাযিআল্লাহু আনহুম) তার উজ্জল দৃষ্টান্ত।
নবী করীম মুহম্মদ (স.) জায়েদ বিন হারিছাকে নিজ পুত্রের মতো লালন করেন। নবী (স.) তার ফুফতো বোনের সাথে মুক্তদাস জায়েদ বিন হারিছা (রা.)-এর বিয়ে দেন। তিনি উম্মে আয়মান বারাকাকে মা বলে ডাকতেন। আবু হুজায়ফা (রা.) সালেম (রা.)কে নিজ পুত্রের মতো লালন করেন। নবী (স.) জুওয়াইরিয়া, ছাফিয়া, রায়হানাকে দাসীরূপে পেয়ে স্ত্রীরূপে বরণ করেন। তাদেরকে তিনি স্ত্রীরূপে বরণ না করলে ইতিহাসে তাদের নামপরিচয় পাওয়া যেত না। .........।
আবু রাফে দাস ছিলেন, তবে মর্যাদা ও যোগ্যতায় ছিলেন আজাদ লোকদের সমকক্ষ। রসূল (স.) আলী রা)-এর নেতৃত্বে যে বাহিনী ইয়ামেনে পাঠান তাতে আবু রাফেও ছিলেন। আলী রা: নিজের অনুপস্থিতিতে আবু রাফেকে বাহিনীর নেতৃত্ব দান করেন। রসুল (স.) এর সাথে আবু রাফের গোলামীর সম্পর্ক এত মধুর ও প্রিয় ছিল যে, আমরণ আবু রাফে রসুল (স.) এর গোলাম বা দাস বলে নিজের পরিচয় দিতেন।
নবী (স.) বলেন, তোমাদের রব এক, তোমাদের পিতা এক। জেনে রাখ, অনারবের উপরে আরবের কোন প্রাধান্য নেই, আরবের উপরেও অনারবের কোন প্রাধান্য নেই। কালোর উপর লালের কোন প্রাধান্য নেই, লালের উপর কালোর কোন প্রাধান্য নেই, তাকওয়া ব্যতীত। [1]
নবী (স.) বলেন, তোমাদের পিতা আদম আর আদম মাটির তৈয়ারী। [2]
তোমাদের বিবিদের সাথে সদাচরণ কর, তাদের উপর তোমাদের যেমন হক আছে, তোমাদের উপরও তাদের হক আছে।
দাসদের সাথে সদয় আচরণ কর।
নবী (স.) বলেন, যে দাসীকে আদব শিখায় এবং তাকে আজাদ করে বিয়ে করে তার জন্য দ্বিগুণ পুরষ্কার। (বুখারী) এ হাদীস থেকে বুঝা যায় আজাদ করার আগে দাস দাসীকে আদব শিখাতে হবে।
ইবনে রাওয়াহার একটি কালো দাসী ছিল। তিনি তাকে নিকাহ করলে অনেক মুসলিম তাকে দোষারোপ করে। কারণ তারা চাইত, খান্দানী শরাফত বজায় রাখতে শরীফ খান্দানের মুশরিক নারীকে বিয়ে করা। তখন আল্লাহ এই আয়াত নাজিল করেন: অবশ্যই মুসলিম দাসী মুশরিক নারীর চেয়ে বেহতর, যদিও তাদেরকে তোমার ভালো লাগে। (2:221)
[1] আহমদ
[2] বাযযার