ইমাম আবু জাকারিয়া য়াহয়া বিন জিয়াদ আছলামী দায়লামী ওরফে ফাররা(জন্ম 144হি/761 কুফা-215হি./822বাগদাদ) আরবি ভাষাতত্ত্ব ও ব্যকরণে বড়পণ্ডিত ও কুরআনের তাফছীরকারক ছিলেন। তিনি আরবের পুরানা, আধুনিক ও আঞ্চলিক ভাষা সম্পর্কে তিনি ভালো জানতেন।
তার রচিত কিতাবুল মাআনী দারুল আলিম থেকে প্রকাশিত। এটি আমাদের জানামতে পুরানাতম তাফছীর। এছাড়া্ও তার অন্যান্য কিতাব মাছাদির ফীল কুরআন, কিতাবুল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা, কিতাবুল জামউ ওয়া তাছনিয়াতু ফীল কুরআন, আলাতুল কাতিব, কিতাবুল মুফাকির।
ফাররা সূরা মাঊনের মাঊন শব্দটি সম্পর্কে বলেন, মাঊন মানে পানি। তার বক্তব্যের সমর্থনে তিনি পুরানা জামানার আরব শায়েরের কাছীদা থেকে নিচের চরণটি পেশ করেছেন।
য়ামুজ্জু ছাবীরাহুল মাঊনা ছারা।
যারমানে মেঘে পানির ঢেউ খেলছে।
এখানে মাঊন শব্দটি পানি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফাররাসূরা ফীলের আলামতারা শব্দগুচ্ছ সম্পর্কে বলেন, এর মানে আলাম তুখবার (তুমি কি খবর পাওনি), জাজজাজ বলেন, এর মানে আলাম তালাম (তুমি কি জান না)। যে বছরে ইয়েমেনের সুলতান আবরাহা তার হাতীবাহিনী নিয়ে কাবাঘর হালাক করতে আসে সে বছরই নবী (ছ.)-এর জন্ম।
ফাররাসূরা ফীলের ছিজজীল শব্দটি সম্পর্কে বলেন, তীন কদ তুবিখা হাত্তা ছারা বিমানজিলিহির রিহা।
ফাররাসূরা ফীলের আছফ শব্দটি সম্পর্কে বলেন, আছফ হচ্ছে বীজের যে অংশ খাওয়া যায়। অবশ্য ইবনে আব্বাছ বলেন, আছফ মানে ওরক (পাতা/খোসা)।
ফাররার মতানুযায়ী “ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল” এর মানে “তিনি তাদেরকে বানালেন খেয়ে ফেলা শস্যের মতো”। ইবনে আব্বাছের মতানুযায়ী “ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল” এর মানে “তিনি তাদেরকে বানালেন খেয়ে ফেলা পাতার মতো”।
ফাররার মতানুযায়ী “ওয়াল হাব্বু জুল আছফি ওয়ার রাইহান” মানে এর মানে “আর (ধরণীতে আছে) খাওয়ার যোগ্য ও সুবাসিত শস্য”। ইবনে আব্বাছের মতানুযায়ী “ওয়াল হাব্বু জুল আছফি ওয়ার রাইহান” এর মানে “আর (ধরণীতে আছে) পাতাযুক্ত (বা খোসাযুক্ত)শস্য ও সুবাসিত শস্য”।
ফাররার মতে লি-ইলাফি কুরাইশ আয়াতটির সাথে এর আগের সূরা সূরা ফীলের শেষ আয়াতের (“ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল”) অনুষঙ্গ আছে। আছহাবে ফীল বা হাতীওয়ালাদেরকে হালাক করা হয়েছে আর কুরাইশদেরকে বাকী রাখা হয়েছে আর তা এজন্যই যে তারা যেন পবিত্র ঘরের রবের উপাসনা করে।
ফাররাসূরা আছরেরআছরশব্দটি সম্পর্কে বলেন,আছর মানে দাহর (কাল)। মুকাতিল বলেন, আছরের ছলাত।
দিমতা (3:57) সম্পর্কে তিনি বলেন, হিজাজবাসী বলে দুমতা (বেচে থাক বা টিকে থাক) ও মুত্তা (মরে যাও), তামীম গোত্রের লোকেরা বলে দিমতা ও মিত্তা। এ আয়াতে দাড়িয়ে থাকা বলতে তাকাদা দিতে থাকা বুঝানো হয়েছে।
ফিরদাউছ (18:107) সম্পর্কে তিনি বলেন, এর মানে উদ্যান যাতে আছে বদান্যতা (কারম)। কেউ কেউ বলেন ফিরদাউছ শব্দটি আরবী নয়, গ্রীক বা ফার্ছী বা নাবাতী বা সিরিয়ান শব্দ। কিন্তু ফাররা বলেন, ফিরদাউছ শব্দটি আরবী। এটি ফারদাছা থেকে এসেছে যার মানে চওড়া হওয়া।
ফুম (2:61) সম্পর্কে অনেকে বলেন, এটি রসুন। ছুম এর ছা কে ফা দিয়ে বদলানো হয়েছে। কিন্তু ফাররা বলেন, ফুম মানে হিনতা/গম। আরবীতে গমকে হিনতা বলা হয়। ফাওয়িমূ মানে ইখতাবিজু (রুটি বানানো)।
তার রচিত কিতাবুল মাআনী দারুল আলিম থেকে প্রকাশিত। এটি আমাদের জানামতে পুরানাতম তাফছীর। এছাড়া্ও তার অন্যান্য কিতাব মাছাদির ফীল কুরআন, কিতাবুল ওয়াকফ ওয়াল ইবতিদা, কিতাবুল জামউ ওয়া তাছনিয়াতু ফীল কুরআন, আলাতুল কাতিব, কিতাবুল মুফাকির।
ফাররা সূরা মাঊনের মাঊন শব্দটি সম্পর্কে বলেন, মাঊন মানে পানি। তার বক্তব্যের সমর্থনে তিনি পুরানা জামানার আরব শায়েরের কাছীদা থেকে নিচের চরণটি পেশ করেছেন।
য়ামুজ্জু ছাবীরাহুল মাঊনা ছারা।
যারমানে মেঘে পানির ঢেউ খেলছে।
এখানে মাঊন শব্দটি পানি অর্থে ব্যবহার করা হয়েছে।
ফাররাসূরা ফীলের আলামতারা শব্দগুচ্ছ সম্পর্কে বলেন, এর মানে আলাম তুখবার (তুমি কি খবর পাওনি), জাজজাজ বলেন, এর মানে আলাম তালাম (তুমি কি জান না)। যে বছরে ইয়েমেনের সুলতান আবরাহা তার হাতীবাহিনী নিয়ে কাবাঘর হালাক করতে আসে সে বছরই নবী (ছ.)-এর জন্ম।
ফাররাসূরা ফীলের ছিজজীল শব্দটি সম্পর্কে বলেন, তীন কদ তুবিখা হাত্তা ছারা বিমানজিলিহির রিহা।
ফাররাসূরা ফীলের আছফ শব্দটি সম্পর্কে বলেন, আছফ হচ্ছে বীজের যে অংশ খাওয়া যায়। অবশ্য ইবনে আব্বাছ বলেন, আছফ মানে ওরক (পাতা/খোসা)।
ফাররার মতানুযায়ী “ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল” এর মানে “তিনি তাদেরকে বানালেন খেয়ে ফেলা শস্যের মতো”। ইবনে আব্বাছের মতানুযায়ী “ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল” এর মানে “তিনি তাদেরকে বানালেন খেয়ে ফেলা পাতার মতো”।
ফাররার মতানুযায়ী “ওয়াল হাব্বু জুল আছফি ওয়ার রাইহান” মানে এর মানে “আর (ধরণীতে আছে) খাওয়ার যোগ্য ও সুবাসিত শস্য”। ইবনে আব্বাছের মতানুযায়ী “ওয়াল হাব্বু জুল আছফি ওয়ার রাইহান” এর মানে “আর (ধরণীতে আছে) পাতাযুক্ত (বা খোসাযুক্ত)শস্য ও সুবাসিত শস্য”।
ফাররার মতে লি-ইলাফি কুরাইশ আয়াতটির সাথে এর আগের সূরা সূরা ফীলের শেষ আয়াতের (“ফাজাআলাহুম কাআছফিম মাকূল”) অনুষঙ্গ আছে। আছহাবে ফীল বা হাতীওয়ালাদেরকে হালাক করা হয়েছে আর কুরাইশদেরকে বাকী রাখা হয়েছে আর তা এজন্যই যে তারা যেন পবিত্র ঘরের রবের উপাসনা করে।
ফাররাসূরা আছরেরআছরশব্দটি সম্পর্কে বলেন,আছর মানে দাহর (কাল)। মুকাতিল বলেন, আছরের ছলাত।
দিমতা (3:57) সম্পর্কে তিনি বলেন, হিজাজবাসী বলে দুমতা (বেচে থাক বা টিকে থাক) ও মুত্তা (মরে যাও), তামীম গোত্রের লোকেরা বলে দিমতা ও মিত্তা। এ আয়াতে দাড়িয়ে থাকা বলতে তাকাদা দিতে থাকা বুঝানো হয়েছে।
ফিরদাউছ (18:107) সম্পর্কে তিনি বলেন, এর মানে উদ্যান যাতে আছে বদান্যতা (কারম)। কেউ কেউ বলেন ফিরদাউছ শব্দটি আরবী নয়, গ্রীক বা ফার্ছী বা নাবাতী বা সিরিয়ান শব্দ। কিন্তু ফাররা বলেন, ফিরদাউছ শব্দটি আরবী। এটি ফারদাছা থেকে এসেছে যার মানে চওড়া হওয়া।
ফুম (2:61) সম্পর্কে অনেকে বলেন, এটি রসুন। ছুম এর ছা কে ফা দিয়ে বদলানো হয়েছে। কিন্তু ফাররা বলেন, ফুম মানে হিনতা/গম। আরবীতে গমকে হিনতা বলা হয়। ফাওয়িমূ মানে ইখতাবিজু (রুটি বানানো)।